গোপীবল্লভপুর পুলিশ ফাঁস করলো আন্তরাজ্য ডিজিটাল জালিয়াতি
আপনি হয়তো প্রতিদিন কিছু না কিছু মেসেজ পেয়েই থাকেন যেখানে দাবি করা হয় আপনি এক বিপুল অঙ্কের টাকা জিতেছেন। এবং এই লোভে যারাই পরেন তারাই কিছু না কিছু হারান। এমনই একটা ঘটনা ঘটেছিল গোপীবল্লভপুর এলাকাতে। কিছুদিন আগে গোপিবল্লভপুর থানায় এক ব্যাক্তি অভিযোগ করেন তার মোবাইলে একটি ফোন আসে যে তিনি একটি গাড়ি জিতেছেন । সেই সঙ্গে আপনাকে একটি সোনার আঙটি দেওয়া হবে । ফোন মারফতেই তার ঠিকানা জেনে নেওয়ার কিছুদিন পরেই পোষ্ট অফিসের মারফৎ একটি খাম পান । যেটি রিসিভ করতে ৬৬০০ টাকা দিয়ে রিসিভ করতে হয় । খাম খুলতেই চক্ষু চড়ক গাছ অভিযোগকারীর । খামের ভিতর রয়েছে একটি আঙটি এবং সঙ্গে একটি একাউন্ট নম্বর । তাতে লেখা রয়েছে গাড়িনটি নিতে হলে এই একাউন্টে আরো কিছু টাকা জমা করতে হবে । এতেই সন্দেহ হয় । তখন তিনি গোপিবল্লভপুর থানায় একটি প্রতারনার অভিযোগ করেন । গোপীবল্লভপুর থানা পুলিশ অ ঝাড়গ্রাম জেলা পুলিশ যৌথভাবে এই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নামে ও বিরাট সাফল্য পায়।
কলকাতার সোদপুর এলাকা থেকে ঝাড়গ্রাম জেলা পুলিশ কয়েক জনকে আটক করে । তাদের কাছেই জানতে পারা যায় যে এই প্রতারনা চক্রটি শুধু পশ্চিমবঙ্গে নয় , ঝাড়খন্ড , বিহার , ঊড়িষ্যা পর্যন্ত বিস্তৃত । এই ছক্চক্রের মূল পান্ডা কে আটক করার লক্ষ্যে ঊড়িষ্যা ছুটে যায় তদন্তকারী পুলিশ আধিকারিকরা। সেখান থেকেই এই চক্রের মূল পান্ডা বি কে গুপ্তা কে আটক করে। বি কে গুপ্তাকে জেরা করে গোপীবল্লভপুর ও ঝাড়গ্রাম জেলা পুলিশ পরে বিহার থেকে আরো সাতজনকে আটক করে। ঝাড়গ্রামের পুলিশ সুপার অমিত কুমার রাঠোর জানিয়েছেন মোট এই চক্রের আট জন কে আটক করা হয়েছে । আটক কারীদের কাছ থেকে স্ট্যাম্প, মোবাইল, ডেবিট কার্ড , আংটি , স্ক্রাচ কার্ড, এছাড়াও মানি অর্ডারের ফর্ম উদ্ধার করা হয়েছে । আপাতত আটক ব্যাক্তিরা পুলিশি হেফাজতে রয়েছে। তদের সঙ্গে আর কারা যুক্ত রয়েছে তা তদন্ত করে দেখছে পুলিশ।